প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ-
যদিও কলেজটি ২০০৩ সালে স্থাপিত হয় তথাপিও অত্র অঞ্চলের মানুষ তখনও তেমন কোন আস্থা রাখতে পারেননি। কলেজটি পর্যায়ক্রমে ভাল ফলাফল করতে থাকলে ক্রমশঃ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে শুরু করে। ২০১০ইং সালে জুড়ী-বড়লেখা আসনের মাননীয় সাংসদ মোঃ শাহাব উদ্দিন সাহেবকে এলাকাবাসী সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন এবং ২০১০ইং সালেই তিনি কলেজটিকে এমপিও ভূক্ত করান। এখন ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগও আছে। মরহুম এমএন ইউসুফ সাহেবের পরে হোসেন আহমদ চৌধুরী শামীম সাহেব ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে ১৯/০৬/২০১১ইং তারিখ থেকে আমি মোঃ জহির উদ্দিন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছি। প্রতিষ্ঠাতা মাসুক আহমেদ সাহেব, এলাকার সুধীজন, পরিচালনা কমিটি, শিক্ষকবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা পরিষদ এবং মাননীয় সাংসদ মোঃ শাহাব উদ্দিন সাহেবসহ সকলের একান্ত আন্তরিকতায় কলেজটি এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় দেড়কোটি টাকার ০১টি একাডেমীক ভবনের ওয়ার্ক অর্ডার করিয়েছেন এমপি মহোদয়। কাজেই আমাদের লক্ষ আলোকিত ও বিকশিত মানব উন্নয়নে এ কলেজটি একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসাবে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসঃ
কলেজটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিঃমিঃ দূরে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষা-দীক্ষা ও আর্থ-সামাজিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া এ জনপদে কলেজ প্রতিষ্ঠা করা অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতোই ছিল। কেউ তেমন আস্থা রাখতে পারেননি যে এখানে একটি কলেজ হবে। তারপরও কুলাউড়া উপজেলার সাবেক এমপি মরহুম এম.এন ইউসুফ মোক্তার সাহেব অনেকের সহযোগীতা নিয়ে উদ্ধোগ গ্রহণ করেন। এবং ২০০৩ইং সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠার কাজ কেবল মানবিক বিভাগে মাত্র ০৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করেন এবং তিনিই প্রথম অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। জনাব মাসুক আহমদ কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা হন। ২০০৫ সালে মাত্র ০৫ জন পরীক্ষার্থী এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। কলেজটি প্রথমে একটি সাটারিং ডোরের দোকান ঘরে শুরু হয়। তারপর নিজস্ব ভূমিতে সামান্য চালাঘর এবং বর্তমানে ০৯টি টিনসেড কক্ষ নিয়ে চলছে। কলেজটি প্রথম থেকেই ভাল ফলাফলের মাধ্যমে সকলের আস্থা অর্জন করতে শুরু করে এবং ধারাবাহিক কৃতিত্ব রেখেই যাচ্ছে। ২০০৯ইং সালে বোর্ডে ৪র্থ স্থান লাভ করে। গত বছর ৮টি এ+ সহ শতভাগ ফলাফল করে এবং এ বছর ২০১৩ইং সালে ১১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ০১ জন ফেল করে এবং ০৫ টি এ+ সহ জেলার সর্বোচ্য পাশের হার অর্থাৎ ৯৯.০৯% ফলাফল করে। এ বছর মানবিক বিভাগে জেলায় যে দুইটি গোল্ডেন এ+ আসে তাও এই কলেজে। এভাবে কোন প্রকার প্রাইভেট পড়াশুনা ছাড়াই প্রতিশ্রুতিশীল ফলাফল করে যাচ্ছে। এখানে এসএসসি লেভেল থেকে আমরা এ+ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী পাই না। বর্তমানে ২ বর্ষে ৪১৩ জন শিক্ষার্থী আছেন। অথচ এদের মধ্যে কোন এ+ নেই। তার পরও আমরা ‘এ’ ও ‘এ+’ সহ প্রগ্রেসিভ ফলাফল দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতিষ্ঠানটির EIINনম্বর ১২৯৬৮০ । এমপিও কোড- ১৩০৭০১৩১০২
ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা শ্রেণি ভিত্তিক (২০১৩)
শ্রেণি | ছাত্র | ছাত্রী | মোট | সর্বমোট | |
একাদশ | মানবিক | ৭৭ | ১১৬ | ১৯৩ | ২৪১ জন |
ব্যবসায় শিক্ষা | ২০ | ২৮ | ৪৮ | ||
দ্বাদশ | মানবিক | ৪৭ | ৮৩ | ১৩০ | ১৭২ জন |
ব্যবসায় শিক্ষা | ২৮ | ১৪ | ৪২ | ||
সর্বমোট |
| ১৭২ | ২৪১ | ৪১৩ | ৪১৩ জন |
বর্তমান গভর্নিং বডির বর্ণনাঃ ১১ জন সদস্য বিশিষ্ট গভর্নিং বডি বিদ্যমান।
কমিটির মেয়াদ ২০/০৫/২০১২ইং তারিখ হইতে ০৬/০৬/২০১৪ইং তারিখ পর্যন্ত। গভর্নিং বডি নিম্নরূপঃ
নং | নাম ও পরিচিতি | পদবী | মন্তব্য |
০১ | জনাব মোঃ শাহাব উদ্দিন মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মৌলভীবাজার-১, (জুড়ী-বড়লেখা) | সভাপতি |
|
০২ | জনাব মোঃ জহির উদ্দিন অধ্যক্ষ | সদস্য সচিব |
|
০৩ | জনাব মোঃ মাসুক আহমদ
| প্রতিষ্ঠাতা সদস্য |
|
০৪ | জনাব মোঃ হোসেন আহমদ চৌধুরী
| শিক্ষক প্রতিনিধি |
|
০৫ | জনাব ছইফ উদ্দিন আহমদ
| শিক্ষক প্রতিনিধি |
|
০৬ | জনাব আব্দুল মতিন
| অভিভাবক সদস্য |
|
০৭ | জনাব হাজী তোতা মিয়া
| অভিভাবক সদস্য |
|
০৮ | জনাব মোঃ ফয়াজ আলী
| অভিভাবক সদস্য |
|
০৯ | জনাব মোঃ রুস্তম আলী
| অভিভাবক সদস্য |
|
১০ | জনাব মোঃ আকবর আলী
| দাতা সদস্য |
|
১১ | জনাব মকদ্দছ আলী মায়া
| বিদ্যুৎসাহী সদস্য |
|
বিগত ৫ (পাঁচ) বছরের সমাপনী/পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলঃ
সাল | এইচএসসি | মন্তব্য | ||
পরীক্ষার্থী | উত্তীর্ণ | পাশের হার | ||
২০০৯ | ৪০ | ৩৯ | ৯৭.০৫% | এ+ ০৩টি, মৌলভীবাজার জেলায় ১ম, শিক্ষা বোর্ডে ৪র্থ স্থান। |
২০১০ | ৩৩ | ২৮ | ৮৫% |
|
২০১১ | ৬৭ | ৬৪ | ৯৬% | এ+ ০৩টি |
২০১২ | ৭৭ | ৭৭ | ১০০% | এ+ ০৮টি |
২০১৩ | ১১০ | ১০৯ | ৯৯.০৯% | এ+ ০৫টি |
ভবিষ্যতে অত্র কলেজকে স্নাতক ও অনার্স কলেজে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জুড়ী উপজেলা সদর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে দক্ষিন-পূর্ব দিকে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত।
মেধাবী ছাত্র ছাত্রীবৃন্দঃ-
এই কলেজের অনেক ছাত্র-ছাত্রী বর্তমানে শাহ্ জালাল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস