প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ-
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় প্রত্যমত্ম ও পাহাড়ি এলাকায় অত্যমত্ম মনোরম পরিবেশে এলাকার শিক্ষা বিস্তার বিশেষ করে নারী প্রসারে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে হাজী আপ্তাব উদ্দিন আহমদ ও তার পরিবারের একক অর্থায়নে প্রতিষ্ঠত হয় হাজী আপ্তাব উদ্দিন আমিনা খাতুন কলেজ। প্রতিষ্ঠানটিতে ০১টি আধাপাকা ভবন ও চার তলা বিশিষ্ট ০১টি ভবন নির্মানাধীন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে শ্রেণিকক্ষ ০৮টি, বিজ্ঞানাগার ০১টি, অফিস কক্ষ ০১টি, ছাত্রী মিলনায়তন ০১টি, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদাভাবে ০২টি ও শিক্ষকদের জন্য ০২টি টয়লেট, ০১টি টিউবওয়েল এবং কলেজ সম্মুখে ০১টি খেলার মাঠ আছে। সিলেট শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত কলেজ কোড নং ২৩৮১, EIINনং- ১৩৫৩১৯,
প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসঃ-
মরহুম আলহাজ্ব আপ্তাব উদ্দিন আহমদ তাঁর নিজ নামে ২০১২ খ্রিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় গোয়ালবাড়ী ও বড়ধামাই মৌজায় ‘‘হাজী আপ্তাব উদ্দিন আমিনা খাতুন কলেজটি’’ প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রতিষ্ঠানটি জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কের পার্শ্বে একটি মনোরম টিলায় অবস্থিত। এটি জুড়ী উপজেলা সদর থেকে ০৮ কিঃমিঃ দঃ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। কলেজ ক্যাচমেন্ট এলাকাটি নয়নাভিরাম বন্ধুর ঘন শ্যামলে ঘেরা যা যেকোন সময়ের শিল্পীর তুলিতে আঁকা মনোহারি ছবির চাইতেও প্রকৃতি প্রেমিক মানুষের কাছে অনেক বেশী আকর্ষনীয় বৈ কি।
কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যঃ-
ï মৌলভীবাজার তথা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে উচ্চ শিক্ষার প্রসার ও শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা ।
ï মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সুপ্ত মেধাকে বিকাশিত করা।
ï দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ করা।
ï দেশে সুশাসনের জন্য দেশ প্রেমিক ও নৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন সুনাগরিক তৈরী করা ।
ï প্রতিষ্ঠানটিকে ক্রমান্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পর্যমত্ম এগিয়ে নেওয়া এবং নিকট ভবিষ্যতে একটি শ্রেষ্ট বিদ্যাপিঠ হিসাবে পরিনত করা ।
কলেজের বৈশিষ্ট্যঃ-
ï একদল উদ্যোমী তরম্নন শিক্ষ -শিক্ষিকা তাদের মেধা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা, আন্তরিকতা পরিশ্রম, জ্ঞান-বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির আধুনিকতা, সৃজনশীলতা, তথা শৈল্পিক মানসিকতা ও সময় উপযোগী শ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে এই কলেজকে একটি আধুনিক মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে সার্বক্ষণিক টিম ওয়ার্ক করেন।
ïপ্রশিক্ষিত মেধাবী অভিজ্ঞ, সর্বোপরী দায়িত্ববোধ ও আন্তরিকতা সম্পন্ন শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পাঠদান করা হয়। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট টিউটরের নিকট পড়ার প্রয়োজন হয় না।
ïছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করার লক্ষ্যে প্রত্যেক টার্ম পরীক্ষার ফলাফলের পর ভাল ফলাফল অর্জনকারীদের বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়।
ïপ্রিন্সিপাল স্যার ক্লাসে গিয়ে সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের কোন সমস্যা বা চাহিদা সম্পর্কে অবহিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ïশিক্ষক শিক্ষিকাদের দক্ষতা, পারদর্শিতা ও দায়িত্ব সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ïপড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের মনোবিকাশে বিনোদন ও খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়।
ïশিক্ষকেরা পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করে পরিকল্পিত ক্লাস নিয়ে থাকেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সংশিস্নষ্ট বিষয়ে বেসিক জ্ঞান দিতে সচেষ্ট হন যাতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পর মেডিকেল/ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে বেগ পেতে না হয়।
ïক্লাসে বুঝতে পারেনি এরূপ প্রতিটি বিষয় ক্লাস রুমে বা টেবিল টকের মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হয়।
ïমাসে কমপক্ষে একটি সেমিনার বা কর্মশালার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পড়াশুনায় মনোযোগী তথা জীবন সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি:
ïপ্রতি বছর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহের মাধ্যমে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। যা ছাত্র ছাত্রীদের সুকুমার প্রবৃত্তি বৃদ্ধি করে।
ïএকাডেমিক ভবন চত্তরে, পেস্ন গ্রাউন্ডে ব্যাড মিন্টন, ফুটবল, বলিবল, ক্রিকেট খেলার সুবিধা রয়েছে।
|
সামাজিক কর্মসূচি:
ïবাল্যবিবাহ,যৌতুক, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, শিশু শ্রম, ধুমপান প্রভুতি সামাজিক সমস্যার কুফল ও প্রতিরোধ কল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা ও মিডিয়া কর্মীদের নিয়ে উন্মুক্ত সেমিনারের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
ïপ্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রক্ত গ্রুপিং কর্মসূচি, হেপাটাইটিসবি ভাইরাস পরীক্ষা এবং টি.টি সেবা কর্মসূচির ব্যবস্থা রয়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা (শ্রেণি ভিত্তিক-২০১৩)
পর্যায় | শ্রেণি | ছাত্র | ছাত্রী | মোট | মমত্মব্য |
একাদশ | মানবিক | ৪৫ | ৭১ | ১১৬ |
|
বিজ্ঞান | ০০ | ০৯ | ০৯ |
| |
ব্যবসায় শিঃ | ১৫ | ১৭ | ৩২ |
| |
দ্বাদশ | মানবিক | ৫২ | ৯৭ | ১৪৯ |
|
বিজ্ঞান | ০১ | ০৪ | ০৫ |
| |
ব্যবসায় শিঃ | ২৫ | ০৮ | ৩৩ |
| |
সর্বমোট | ১৩৭ | ২০৭ | ৩৪৪ |
|
ফলাফল
শিক্ষা বৃত্ত তথ্য্
অর্জন
ভাবিষ্যৎ পরিকল্পনা
যোগাযোগ
মেধাবী ছাত্র/ ছাত্রী
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস