০১.০১.১৯৫৮ইং সনে নওয়া বাজার এলাকার দ্বহপাড়া নিবাসী স্বানামধন্য আলিমেদ্বীন মরহুম মাওলানা আইয়ুব আলী সাহেবের অনুপ্রেরণায় অত্র এলাকার স্বনামধন্য আলেম সমাজ, সমাজসেবী ও ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় এ সমাজ থেকে অশিক্ষার কুসংস্কার দুর করার লক্ষে এলাকায় শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌছানোর জন্য তৎকালীন বড়লেখা থানার পূর্ব জুড়ী ইউ/পি এর অমত্মর্গত নওয়া বাজারে ক্ষুদ্র পরিসরে একটি মাদ্রাসার ভিত্তি স্থাপিত হয়।
এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলাধীন ৮নং গোয়ালবাড়ী ইউ/পি এর অমত্মর্গত ঐতিহ্যবাহী নওয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা নামে বাংলাদেশে তথা বহিঃবিশ্বে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৬৯ইং সনে অত্র নওয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসাটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল সত্মরে স্বীকৃতি লাভ করে ও ১৯৭৪ইং সনে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক আলিম সত্মরে স্বীকৃতি লাভ করে এবং ১৯৭৬ইং সনে ফাজিল সত্মরে স্বীকৃতি লাভ করে। পর্যায়ক্রমে ফাজিল শ্রেণিকে বি.এ. এর মান দেওয়ায় ২০০৮ইং সন হতে ফাজিল শ্রেণি (বি.এ) কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া এর অধীনে ন্যসত্ম করা হয়। অদ্যাবধি নওয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসাটি ১ম শ্রেণি থেকে আলিম শ্রেণি পর্যমত্ম বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধিনে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং ফাজিল শ্রেণি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধিনে পরিচালিত হয়ে আসছে। অত্র নওয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অসংখ্য ছাত্র/ছাত্রী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন সম্মানিত পেশায় নিয়োজিত হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। বলা বাহুল্য যে ১৯৯৬ইং সনে অত্র নওয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসাটি সিলেট বিভাগের বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা নির্বাচিত হওয়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকে পুরস্কৃত করেন।
মানুষ এ জগতে আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে খলিফা হিসেবে প্রেরিত। আর তাই খেলাফতের দায়িত্বের জবাব অবশ্যই তাকে দিতে হবে। এ দায়িত্ব আনজাম দিতে হলে তার জ্ঞানের প্রয়োজন। এ জন্য নবী করিম (সঃ) এর অহীর শুরুতেই বলা হয়েছে (ইক্বরা) ‘‘পড় তুমি’’ আর নবী করিম (সঃ) বলেছেন, জ্ঞান অর্জন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য আবশ্যক। মানুষ দুটি ধারায় জ্ঞান অর্জন করে, একটি হলো প্রাতিষ্ঠানিক অপরটি হলো অপ্রাতিষ্ঠানিক।
এখন থেকে প্রায় চৌদ্দশত বৎসর পূর্বে নবী করিম (সঃ) মানব জাতিকে শিক্ষাদানের জন্যই প্রেরিত হয়ে ছিলেন। এ শিক্ষাদানের বা অর্জনের ধারা মোতাবেক মাদ্রাসা শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিকতা লাভ করে। এ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রম ধারায় বিংশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে ১৯৫৮ইং সনে নওয়া বাজার এলাকার দ্বহপাড়া নিবাসী স্বনামধন্য আলিমে দ্বীন মরহুম হযরত মাওঃ আইয়ুব আলী সাহেবের অনুপ্রেরণায় অত্র এলাকার আলিমে দ্বীন মরহুম হযরত মাওঃ আং গণি, মরহুম মাওঃ মুবশ্বির আলী ও মরহুম মাওঃ সিরাজ উদ্দিন সাহেবগণের সহযোগিতায় এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিশেষ করে তৎকালীন মুরবিব মরহুম হাজী ইনজাদ আলী, মরহুম হাজী মনোহর আলী, মরহুম হাজী বশির উদ্দিন (চেয়ারম্যান), মরহুম হাজী আপ্তাব উদ্দিন আহমদ, মরহুম ইদ্রিছ আলী ও মরহুম মাওঃ আং রহমান (কটই মেয়াছাব) গং এর পরামর্শ নিয়ে এ সমাজ থেকে অশিক্ষার কুসংস্কার থেকে শিক্ষার আলোর দিকে এলাকাকে এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য বড়লেখা থানার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের অমত্মর্গত নওয়া বাজারে ক্ষুদ্র পরিসরে একটি মাদ্রাসার ভিত্তি স্থাপন করেন। মরহুম মাওঃ আইয়ুব আলী সাহেব নিজেই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হিসেবে নিযুক্তি পান। মরহুম মাওঃ সিরাজ উদ্দিন সাহেব সহ অন্যান্যরা ‘সহকারী শিক্ষক’ হিসেবে শিক্ষাদান আরম্ভ করেন। এলাকাবাসী মুরবিবয়ানদের সহযোগিতায় শিক্ষকগণের অক্লামত্ম প্রচেষ্টায় লেখা পড়ার মান বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই শিক্ষক বৃদ্ধির প্রয়োজনে বিয়ানীবাজার উপজেলার আটাঙ্গন নিবাসী মরহুম মাওলানা আং মুছাবিবর সাহেবকে ক্বারী পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৫ইং সনে টালিয়াউরা নিবাসী মরহুম মাওঃ তজম্মুল আলী সাহেবকে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ দান করা হয়। উক্ত শিক্ষকগণ অতি উৎসাহের সাথে শিক্ষাদান করতে থাকেন।
এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলাধীন ৮নং গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের অমত্মর্গত ঐতিহ্যবাহী ‘‘নওয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা’’ নামে বাংলাদেশে তথা বহির্বিশ্বে পরিচিত। এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি তখন ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও মুহতামিম সাহেবের অক্লামত্ম পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠানের সুনাম চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং উন্নতি লাভ করতে থাকে।
পরবর্তীতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি লাভের কৌশলগত দিক বিবেচনায় এলাকার মান্যবর ব্যক্তিদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় মাদ্রাসার পূরাতন স্থান থেকে সামান্য পশ্চিম-দক্ষিণ পার্শ্বে জমি বরাদ্ধ পাওয়ায় সাবেক কুলাউড়া থানাধীন স্থানে (বর্তমান স্থান) আধা-পাকা ঘর নির্মাণ করতঃ মাদ্রাসা তার পুরাতন স্থান থেকে নতুন স্থানে স্থানামত্মরিত হয়।
অতঃপর এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব মরহুম আলহাজ্ব ইনজাদ আলী সাহেবের সহ-সভাপতিত্বে এবং তৎকালীন স্বনামধন্য চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব বশির উদ্দিন সাহেবের সম্পাদনায় পরিচালিত কমিটির দ্বারা মাদ্রাসার সুনাম ও খ্যাতি চতুর্দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ছাত্র বৃদ্ধি ও শ্রেণী বৃদ্ধির কারণে শিক্ষক বৃদ্ধির প্রয়োজন পড়ে, তাই সহ-সভাপতি ও সম্পাদক সাহেবদ্বয়ের উৎসাহে অনুপ্রাণিত হয়ে টালিয়াউরা নিবাসী জনাব মাওঃ আং রহমান সাহেব গাংকুল মনসুরিয়া পাথারিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকতা ছেড়ে ১লা মার্চ ১৯৬৯ইং সনে অত্র মাদ্রাসায় সহ সুপার পদে যোগদান করেন।
ছাত্র বৃদ্ধি, শ্রেণী বৃদ্ধির ফলে প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৯ইং সনে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল সত্মরে স্বীকৃতি লাভ করে। মাদ্রাসার বর্তমান এবতেদায়ী প্রধান মাওঃ আকবর আলী ও তাঁর সহপাঠীদের দিয়ে প্রথমতঃ দাখিল চুড়ামত্ম পরীক্ষা আরম্ভ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ইং সন থেকে আলিম শ্রেণী আরম্ভ হয়। তখন আরও নতুন শিক্ষক প্রয়োজন হওয়ায় বড়লেখার কাঞ্চনপুর নিবাসী মরহুম মাওঃ মাহমুদ আলী সাহেবকে ১৯৭৩ইং সনে সিনিয়র মৌলানা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৪ইং সনে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে আলিম পরীক্ষার অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমান মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মাওঃ মঈন উদ্দিন ও মাওঃ ইউসুফ আলী এবং তাঁদের সহপাঠীদের দিয়ে প্রথম আলিম চূড়ামত্ম পরীক্ষা আরম্ভ করে শতভাগ কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন এবং তাঁদের দিয়েই ফাজিল শ্রেণী আরম্ভ করা হয়। ফলাফলের কৃতিত্বে ১৯৭৬ইং সনে প্রতিষ্ঠানটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম সত্মরে স্বীকৃতি লাভ করে, পাশাপাশি ১৯৭৬ইং সনে ফাজিল পরীক্ষার অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে আবারও মাওঃ মঈন উদ্দিন, মাওঃ ইউসুফ আলী ও তাঁদের সহপাঠীদের দিয়ে ফাজিল চুড়ামত্ম পরীক্ষা আরম্ভ হয় এবং ফলাফলের ভিত্তিতে ১৯৭৭ইং সনে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফাজিল সত্মরে স্বীকৃতি লাভ করতঃ অদ্যাবধি কৃতিত্বের সাথে উন্নত ফলাফল লাভ করে সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করে আসছে।
১৯৭৪ইং সনে গোয়ালবাড়ী নিবাসী স্বনামধন্য চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব বশির উদ্দিন সাহেবের ইমেত্মকালের পর তাঁর ছোট ভাই মরহুম আলহাজ্ব আপ্তাব উদ্দিন আহমদ সাহেব সর্ব সম্মতিক্রমে সম্পাদক পদে নিয়োজিত হন। তিনি অত্যমত্ম বিচক্ষনতা ও বুদ্ধি মত্তার সাথে এলাকাবাসীকে নিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যান।
দীর্ঘ প্রায় ২১ বৎসর মাদ্রাসার দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিয়তির লেখা মোতাবেক ১২/০২/১৯৭৯ইং তারিখে প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মরহুম মাওলানা আইয়ুব আলী সাহেব ইমেত্মকাল করেন। তাঁর ইমেত্মকালের পর এলাকাবাসী সর্ব সম্মতি ক্রমে ০১/০৭/১৯৭৯ইং সনে হযরত মাওঃ আব্দুর রহমান সাহেবকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগদান করা হয়।
এদিকে ১৯৮৫ইং সনে পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব ইনজাদ আলী সাহেবের ইমেত্মকালের পর তাঁর সুযোগ্য উত্তরসুরী আলহাজ্ব রিয়াজ উদ্দিন সাহেব সর্ব সম্মতিক্রমে এ পদে অধিষ্টিত হন। তখন গভর্ণিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরবর্তীতে আইনতঃ সভাপতির পদ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর উপর ন্যসত্ম হয়। সম্পাদকের পদও আইনতঃ অধ্যক্ষ সাহেবের উপর ন্যসত্ম হওয়ায় আলহাজ্ব আপ্তাব উদ্দিন আহমদ সাহেবকে সহ-সভাপতির পদে নিয়োজিত করা হলে তিনি মাদরাসার উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যান। তিনি দীর্ঘ প্রায় ৪০ বৎসর মাদরাসার গর্ভনিং বডির সম্পাদক ও পরবর্তীতে সহ-সভাপতির পদে নিয়োজিত থাকাবস্থায় বিগত ১৮/০১/২০১৩ইং তারিখে ইমেত্মকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ---------------রাজিউন। বর্তমানে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন হাজী ইনজাদ আলী সাহেবে সুযোগ্য উত্তরসুরী আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন সাহেব। এদিকে টালিয়াউরা নিবাসী মরহুম মাওঃ তজম্মুল আলী সাহেব অতি যোগ্যতার সাথে শিক্ষকতা করে চাকুরীর মেয়াদেই অসুস্থ হয়ে ১৯৮৪ইং সনে ইহকাল ত্যাগ করেন। মরহুম ক্বারী মুছাবিবর আলী সাহেব চাকুরীর মেয়াদামেত্ম অবসর গ্রহণ করার কিছুদিন পর ইহ জগৎ ত্যাগ করেন। অপরদিকে সিনিয়র মাওলানা মরহুম মাহমুদ আলী সাহেব পরবর্তীতে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োজিত হয়ে অতি যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চাকুরীরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে ২০০৩ইং সনের ১৪ই নভেম্বর অসংখ্য ছাত্র/ছাত্রীর হৃদয়ে স্থান রেখে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহমান সাহেব প্রায় ১০বৎসর সহ-সুপার ও ৩২ বৎসর সুপার বা অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যমত্ম বিচক্ষণতা ও যোগ্যতার সাথে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় মাদ্রাসা দাখিল, আলিম, ফাজিল সত্মরে বোর্ডের স্বীকৃতি লাভ করে ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসায় রূপামত্মরিত হয়ে ১৯৯৬ইং সনে বিভাগের শ্রেষ্ট মাদ্রাসা নির্বাচিত হয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত হয়।
৩১/১২/২০০৮ইং তারিখে অধ্যক্ষ সাহেবের চাকুরীর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও গভর্ণিং বডির সিদ্ধামেত্ম তাঁকে আরও ০১ (এক) বৎসর এর জন্য চুক্তি ভিত্তিক হিসেবে তাঁর পদে বহাল রাখা হয়। ১লা মার্চ ১৯৬৯ইং তারিখ থেকে ৩১/১২/২০০৯ইং তারিখ পর্যমত্ম প্রায় ৪২ বৎসর নিরলসভাবে অক্লামত্ম পরিশ্রমের সাথে তিনি মাদ্রাসা পরিচালনা করে অবসর গ্রহণ করেন (আল্লাহ পাক তাঁকে দীর্ঘজীবী করুন)।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহোদয় একাধিকবার হজ্বব্রত পালন করেন এবং লন্ডন ভ্রমনে যান। এ সময়ে একাধিকবার সহকারী অধ্যাপক মাওঃ আব্দুছ ছালাম সাহেবকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যক্ষ মাওঃ আব্দুর রহমান সাহেবের মাদ্রাসা পরিচালনার এ সময় নওয়া বাজার মাদ্রাসার স্বর্ণযুগ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।
তৎপরবর্তিতে আরবী প্রভাষক মাওঃ মোঃ লিয়াকত আলী খান সাহেব ০২/০৫/২০১০ইং তারিখে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োজিত হন এবং ১২/১২/২০১০ইং তারিখ হইতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যমত্ম দক্ষতার সাথে সুষ্টু ও সুন্দর ভাবেই মাদ্রাসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
বর্তমানে মাদ্রাসায় এমপিও ভুক্ত শিক্ষক = ১৯ জন
সহ গ্রন্থাগারিক = ০১ জন
তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী = ০২ জন
চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী = ০২ জন
মোট = ২৪ জন শিক্ষক/কর্মচারী কর্মরত আছেন।
ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা শ্রেণী ভিত্তিকঃ ২০১৩সাল
শ্রেণীর নাম | ছাত্র | ছাত্রী | মোট |
ফাজিল (৩য় বর্ষ) | ১৪ | ০৯ | ২৩ |
ফাজিল (২য় বর্ষ) | ১৪ | ১৪ | ২৮ |
ফাজিল (১ম বর্ষ) ফল প্রার্থী | ১৮ | ১৮ | ৩৬ |
ফাজিল (১ম বর্ষ) | ২০ | ২২ | ৪২ |
আলিম (২য় বর্ষ) ফলপ্রার্থী | ৩৮ | ৩৪ | ৭২ |
আলিম (২য় বর্ষ) | ২৩ | ২৭ | ৫০ |
আলিম (১ম বর্ষ) | ১৬ | ৩৪ | ৫০ |
দাখিল ১০ম | ৩৬ | ৪৬ | ৮২ |
দাখিল ৯ম | ৪০ | ৪৮ | ৮৮ |
দাখিল ৮ম | ২৬ | ৫৩ | ৭৯ |
দাখিল ৭ম | ৪০ | ৫২ | ৯২ |
দাখিল ৬ষ্ঠ | ৫৫ | ৫৭ | ১১২ |
ইবতেদায়ী ৫ম | ১৩ | ০৯ | ২২ |
ইবতেদায়ী ৪র্থ | ২০ | ১১ | ৩১ |
ইবতেদায়ী ৩য় | ১৬ | ০৩ | ১৯ |
ইবতেদায়ী ২য় | ০৯ | ১৪ | ২৩ |
ইবতেদায়ী ১ম | ০৩ | ০৫ | ০৮ |
সর্বমোট = | ৪০১ | ৪৫৬ | ৮৫৭ |
১। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), মৌলভীবাজার, সভাপতি।
২। হাজী মঈন উদ্দিন, সহ-সভাপতি।
৩। মোঃ নাসির উদ্দিন (মিঠু), দাতা সদস্য।
৪। মোঃ মতিউর রহমান, অভিভাবক সদস্য।
৫। মাওঃ মোঃ আব্দুল মতিন, অভিভাবক সদস্য।
৬। মাওঃ মোঃ আব্দুছ ছালাম, শিক্ষক প্রতিনিধি।
৭। মাওঃ মোঃ ইউসুফ আলী, শিক্ষক প্রতিনিধি।
৮। মোঃ লুৎফুর রহমান, শিক্ষক প্রতিনিধি।
৯। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,জুড়ী, বিদ্যোৎসাহী সদস্য।
১০। জ্যেষ্ঠতম সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ।
১১। মোঃ জহির উদ্দিন, বিদ্যোৎসাহী সদস্য।
১২। ডাঃ শামছ উদ্দিন আহমদ, মেডিক্যাল সদস্য।
১৩। মোঃ ফয়জুল ইসলাম, অভিভাবক সদস্য।
১৪। হাজী মঈন উদ্দিন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
১৫। অধ্যক্ষ,অত্র মাদ্রাসা, সদস্য সচিব।
শ্রেণীর নাম | সাল | ছাত্র | ছাত্রী | মোট | পাশ | পাশের হার |
ফাজিল | ২০০৭ | ২২ | ০৬ | ২৮ | ১২ | ৪২% |
২০০৮ | ১৯ | ১০ | ২৯ | ২৭ | ৯৩% | |
২০০৯ | ১২ | ০৫ | ১৭ | ০৬ | ৩৫% | |
২০১০ | ২০ | ০৬ | ২৬ | ২৫ | ৯৬% | |
২০১১ | ১৪ | ১৬ | ৩০ | ৩০ | ১০০% |
শ্রেণীর নাম | সাল | ছাত্র | ছাত্রী | মোট | পাশ | পাশের হার |
আলিম | ২০০৮ | ২১ | ৩৫ | ৫৬ | ৪৯ | ৮৭% |
২০০৯ | ২৬ | ১৬ | ৪২ | ৩৫ | ৮৩% | |
২০১০ | ৩৮ | ৩৮ | ৭৬ | ৬১ | ৮০% | |
২০১১ | ২০ | ২২ | ৪২ | ৩৫ | ৮৩% | |
২০১২ | ২৩ | ২১ | ৪৪ | ৪০ | ৯০% |
শ্রেণীর নাম | সাল | ছাত্র | ছাত্রী | মোট | পাশ | পাশের হার |
দাখিল | ২০০৯ | ৩৭ | ৪১ | ৭৮ | ৪১ | ৫২% |
২০১০ | ৪৮ | ২৭ | ৭৫ | ৪৯ | ৬৫% | |
২০১১ | ৪০ | ৪৬ | ৮৬ | ৭২ | ৮৩% | |
২০১২ | ৩৬ | ৪৬ | ৮২ | ৭২ | ৮৭% | |
২০১৩ | ২১ | ৫১ | ৭২ | ৬১ | ৮৪% |
শ্রেণীর নাম | সাল | ছাত্র | ছাত্রী | মোট | পাশ | পাশের হার |
অষ্টম (জেডিসি) | ২০১০ | ৩২ | ৫৬ | ৮৮ | ৫২ | ৫৯% |
২০১১ | ৫২ | ৬১ | ১১৩ | ৯২ | ৮১% | |
২০১২ | ৪৭ | ৫৯ | ১০৬ | ৯৬ | ৮৯% |
শ্রেণীর নাম | সাল | ছাত্র | ছাত্রী | মোট | পাশ | পাশের হার |
৫ম শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষা | ২০১০ | ২০ | ৩৫ | ৫৫ | ২৬ | ৪৭% |
২০১১ | ২৫ | ৩০ | ৫৫ | ৩৮ | ৬৯% | |
২০১২ | ২৭ | ২০ | ৪৭ | ৪৭ | ১০০% |
শিক্ষাবৃত্তির তথ্য সমূহঃ
(ক) অর্জনঃ
১৯৫৮ইং সনে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, শিক্ষক, ও গুণীজনকে উপহার দিয়েছে। জেলা ও বিভাগের শ্রেষ্ঠতম মাদ্রাসা হিসেবে ১৯৯৬ইং সনে স্বর্ণ পদক অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
১৯৫৮ইং সনে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, শিক্ষক, ও গুণীজনকে উপহার দিয়েছে। জেলা ও বিভাগের শ্রেষ্ঠতম মাদ্রাসা হিসেবে ১৯৯৬ইং সনে স্বর্ণ পদক অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মাদ্রাসায় কোন ছাত্রাবাস না থাকায় বিভিন্ন সময়ে লজিং সমস্যার দরুন ছাত্র ভর্তিতে ব্যাঘাত ঘটে, তাই ছাত্রাবাস নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২। বর্তমান কম্পিউটার যুগে জ্ঞান বিজ্ঞানে বিশ্ব উন্নতির দিকে উন্নীত এই মুহুর্তে এ মাদ্রাসায় বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিভাগ খোলা সময়ের দাবী, যাহা পরিকল্পনাধীন। ৩। ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীরাও যখন কামিল সত্মরে উন্নীত হচ্ছে তখন অত্র এলাকায় কোন কামিল মাদ্রাসা না থাকায় ছাত্র বিশেষ করে ছাত্রীরা দুর দুরামেত্ম গিয়ে ভর্তি হওয়া কষ্টকর তাই মাদ্রাসায় কামিল খোলাও সময়ের দাবী। ৪। বর্তমান ভবনগুলোতে ছাত্র/ছাত্রীদের সংকুলান না হওয়ায় পশ্চিম দিকের একতলা বিশিষ্ট ভবনটি দু’তলায় উন্নীত করণ। আল্লাহ পাক এ পরিকল্পনাগুলো পূর্ণ করার তৌফিক দান করুন এ কামনা করি।
প্রতিষ্ঠানটি মৌলভীবাজার জেলাধীন জুড়ী উপজেলা সদর হতে প্রায় ৪কি.মি. দক্ষিণ-পূর্ব দিকে লাঠিটিলা সওজ সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে নওয়াবাজার নামক বাজারের প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত।
৫ম শ্রেণী | ৬ষ্ট শ্রেণী |
১। সুমি বেগম | ১। মাসুদা সিদ্দিকা (ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ২০১২ইং) |
২। সুলতান আহমদ | ২। মরিয়ম জামিলা |
| ৩। শিউলী বেগম |
৭ম শ্রেণী | ৮ম শ্রেণী |
১। নাজমিন আক্তার | ১। মাছুমা আক্তার |
২। তামান্না খানম | ২। মরিয়ম আক্তার |
৩। রুবানা আক্তার | ৩। মাজেদা খানম |
৯ম শ্রেণী | ১০ম শ্রেণী |
১। আয়শা সিদ্দিকা (জেডিসি সাধারণ বৃত্তি ২০১২) | ১। সুমাইয়া খানম (জেডিসি ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ২০১১ইং) |
২। ফাহমিদা আক্তার | ২। জান্নতুল ফেরদৌস (জেডিসি ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ২০১১ইং) |
৩। এমদাদুল হক | ৩। ছামিয়া জান্নাত |
আলিম ১ম | আলিম ২য় |
১। খাদিজা খানম | ১। সানজিদা আক্তার |
২। শরিফ উদ্দিন | ২। দেলোয়ার হোসাইন |
|
|
আলিম ফলপ্রার্থী ২০১৩ইং | ফাজিল ১ম |
১। জাহিদুল ইসলাম (দাখিল জিপিএ ৫.০০-২০১১) | ১। কামরুল ইসলাম |
২। আহসানুল হক সুমন (দাখিল জিপিএ ৫.০০-২০১১) | ২। আব্দুল্লাহ ইমন |
৩। ফরিদা ইয়াছমিন (দাখিল জিপিএ ৫.০০-২০১১) |
|
ফাজিল ২য় | ফাজিল ৩য় |
১। রুকশানা বেগম | ১। সাইফুর রহমান |
২। মাছুমা বেগম | ২। আব্দুল কাইয়ুম |
৩। আয়শা বেগম |
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস